বুড়িমারী স্থল বন্দর বাংলাদেশের একটি অন্যতম স্থল বন্দর হিসাবে পরিচিত। পাটগ্রাম উপজেলা থেকে এর দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
Saturday, September 23, 2017
মেঘনার আলেকজান্ডার চর যেন আরেক কক্সবাজার!,লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর:
চর আলেকজান্ডার। এটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সদর। অব্যাহত ভাঙনে পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদী। উপজেলা পরিষদের বারান্দা থেকে মাত্র ১শ’ গজের দূরত্বে মেঘনা পাড়।
ভাঙন রোধে এ পাড়ে বাঁধ হয়েছে। বাঁধের ওপর জড়ো হয় সবাই। উপভোগ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে নতুন বালুর বেলাভূমি। নদীর ঢেউ জলের মিষ্টি সুর, এসবে মুগ্ধ হয় আগত সবাই। এখানে আসলে বাতাসে দোলে শরীর ও মন, তাই তো সবাই বার-বার ছুটে আসে এ পাড়ে।
রামগতি উপকূলীয় উপজেলা। এ জনপদে বিনোদনের কোনো মাধ্যম নেই। তবে, আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর পাড়ে ছুটে এলে মনের খোরাক মিটে যায়। তাই তো দলবেঁধে পরিবারের সবাই মিলে ভিড় জমায় এখানে। ঈদকে ঘিরে এখানে প্রাণের উচ্ছ্বাস বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিনোদন প্রেমীরা।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে নদী পাড়ে এসে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে সবাই। নৌকা চড়ে মেঘনা ঘুরছে। পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে আসা ছোট শিশুরাও উল্লাসে ভাসে এ পাড়ে এসে।
শহর থেকে আসা আমি মানিক, বাবু ও সহলে বাংলানিউজকে জানান, শহরের বন্দি জীবন থেকে নদীর পাড়ে এসে অনেক স্বস্তি লাগছে। আমাদের মতে আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়ের প্রকৃতি সত্যিই ভালো লাগার।
মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে আলেকজান্ডার শহর যখন মারাত্মক হুমকির মুখে, ঠিক এমনি মুহূর্তে সেনাবাহিনী নদীর পাড় রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করে।
ঘুরে এলাম কলকাতা , পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
ফকিরাপুল সোহাগ কাউন্টারে বসে আছি । সবিজ থেকে একটা ব্যাগ ধার নিছিলাম যেটা ছিড়ে গেছে এই লম্বা যাত্রা শুরুর আগেই। মাথা গরম
হয়ে আছে। যাত্রার শুরুতেই ঝামেলা। নতুন ব্যাগ কিনে কাউন্টারে গ্যাট হয়ে বসে আছি।
তিনটে ত্রিশ এ বাস এলো ,
বিজনেস ক্লাস বাস। ৩/১ সিট। আমার পড়লো একেবারে একা সিটটা। মনটাই
সাথে সাথে ভাল হয়ে গেল। । রাত ১টা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট গেলাম.. সেখানে ২ ঘন্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করে আবার শুরু হলে বেনাপেলে উদ্দেশে রহনা...
[ নোটঃ ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়া
অত্যাস্ত সহজ ,
অনলাইনে (www.ivacbd.com)
ফরম ফিলআপ করে প্রিন্ট আউট নেবেন। ওই ফরম এ দেওয়া ডেট এন্ড টাইম
অনুযায়ী ওদের অফিসে উপস্থিত হয়ে যাবেন ওই ফরম , পাসপোর্ট ,
ছবি নিদৃষ্ট সাইজের (2″*2″) , জন্ম নিবন্ধী ও
অন্যান্য কাগজের ফটোকপি সহ। ভিসা ফি ৪০০ টাকা । পরের দিন কোন ছুটি না থাকলে
সেদিন-ই ভিসা পেয়ে যাবেন। বা আপনাকে দেওয়া রসিদে টাইম এন্ড ডেট দেওয়া থাকবে।
শ্যামলী বাস একেবারে কোলকাতা পর্যন্ত দিয়ে আসবে আপনাকে চট্রগ্রাম থেকে । এসি বাস
৪০০০ টাকা রিটার্ণ সহ এবং এটায় আপনি বেনাপোল থেকে কোলকাতার মারকুইস স্ট্রিট
পর্যন্ত যেতে পারবেন । এবং বর্ডারে আপনার পোর্টার কস্ট এবং কাগজ পত্রের কাজ ও এরা
করে দেবে। ননএসি ১৪০০ টাকা । প্লাস বর্ডার থেকে ১৫০ রুপি কোলকাতা পর্যন্ত শ্যামলি
বাস। এছাড়া আপনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রেনে যেতে পারেন। মত্রি এক্সপ্রেস
ট্র্রেন যায় কোলকাতা পর্যন্ত। ভাড়া AC কোচ – ১১০০ টাকা , AC চেয়ার ৬৬০ টাকা , নন এসি ৪৩০ টাকা। বাংলাদেশ রেইলওয়ের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পাবেন [http://www.railway.gov.bd/maitreeexpress1.asp]। ]
রাত দুটার দিকে ঘুম ভাংগলো। দেখি বাস চলছেনা। বাসের
সিটেও মানুষ কম। কি ঘটনা দেখতে বাস থেকে নামলাম ক্যামেরা সমেত। দেখি আমি বাস সমেত
বিশাল একটা ফেরিতে। কিছু ছবি তুললাম। এদিক সেদিক ঘুরলাম। এরপর টয়লেটে ট্রাই
মারলাম,
ময়লা, দুর্গন্ধ। পেটের নাড়ি – ভুড়ি উল্টে আসে। ফেরির ক্যান্টিনে গেলাম। প্যাকেজ সিস্টেম খাবার নিলাম,
১৫০ টাকা । মুরগী একবারই কিন্তু সবজী, ভাত
যত খুশি। পানির উপর দিয়ে পেটে অনেক গুলো বাস আর ট্রাক ভরতি নৌযানটি নিয়ে অপুর্ব
অনেক চরকে পাশ কাটিয়ে আমরা ঘাটে পৌছিলাম। ঘুমন্ত যশোরের উপর দিয়ে খুব ভোরে বেনাপোল
পৌছালাম। বর্ডার খোলে ৯টায়। তাই নাস্তা করে এদিক সেদিক ঘুরলাম।
ফেরি রাতের আধারে।
ব্যাংক খোলার পর ৩০০ টাকা বাংলাদেশ সরকারের নামে জমা
দিয়ে কাগজ সহ রর্ডারের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করলাম। অনেক দালাল রা ট্রাই করলো আমার
থেকে ব্যাগ নিয়ে বর্ডার ক্রস করে দেবে বলে। ব্যাগ চেক করবেনা কর্মকরর্তারা। কান
দিলাম না। ভারতে এর আগেও অনেক বার এসেছি। যানি এরা কেমন। তাই নিজের মত এগুলাম। কোন
ঝামেলা ছাড়াই ক্রস করলাম। ইন্ডিয়ার মাটিতে পা দিয়েই কেমন জানি একটা ফিলিং হতে
লাগলো। কারণটা সহজ। নতুন কোন ভ্রমনের আসা , অন্য একটা দেশ।
প্রথমেই শ্যামলী কাউন্টারে ঢুকে ফ্রেস হলাম। সেখানেই ডলার এক্যচেন্জ করা যায়।
কিন্তু করলামনা। ঢাকাই একটা ফোন করলাম কারেন্ট রেট জানতে। ( কোলকাতার ভেতরে প্রায়
১০-১২ কিমি পর্যন্ত গ্রামীন এবং রবি নেটেওয়আর্ক কাজ করে। ) পরে পাশের একটা
এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার ভাংগিয়ে রুপি
নিলাম। রিসিটটা/রশিদ নিতে ভুললামনা। শ্যামলীর বাসে করে কোলকাতা যাত্রা শুরু হলো।
পথে ধাবা মতো একটা প্লেসে গাড়ি দাড়ালো। ১০০ রুপি দিয়ে নাস্তা খেলাম। ভারতের এই
যাত্রার প্রথম খাবার এবং খরচ। যাত্রা হলো শুরু।
দুপুর দুটা নাগাদ বাস আমাকে কলিং স্ট্রিট নামিয়ে দিল।
প্রথমে আমি গতবার যে হোটেল এ উঠেছিলাম সেটায় খোজ নিলাম। ভাড়া ডাবল চাইলো। হিন্দি
ভাষা আমার খারাপনা। তাই অনেক বুঝালাম তাদের ভাষায়। লাভ হলোনা। আশপাশের অন্যান্য
হোটেল গুলায় দেখলাম। রুম নাই। এদিকে সিম কার্ড কেনার ট্রাই করলাম। দেখলাম নিয়ম
কানুন অনেক পরিবর্ত হয়েছে। দু-তিনদিন লাগবে অ্যাকটিভ হতে। সিম আর নিলামনা। কারণ
আমি এ শহরে বেশিদিন থাকবোনা। অ্যাকটিভেট না হলে তাদের কোন সাহায্য পাবোনা। একটা
হলুদ ক্যাব নিয়ে সোজা জাকারিয়া স্ট্রিট চলে আসলাম। এখানে না খুদা মসজিদের ঠিক পরের
গলিতে ঢুকে একটা হোটেল নিলাম। মাত্র ৩০০ রুপি দিয়ে।
জাকারিয়া স্ট্রিট যাওয়ার পথে।
হোটেল এ ফ্র্রেশ হয়ে বের হলাম। প্রচন্ড খুদা লাগছে
ততক্ষনে । কিন্তু এ সময়ে কোথাও চাউল পেলামনা। ভারতীয়রা ভাতকে চাউল বলে। সো
ইন্ডিয়ান রুটি দিয়ে সবজী খেলাম। বাইরে এসে দেখলাম খুব সুন্দর সুন্দর পেয়ারা বিক্রি
করতেছে একটা ৫ রুপি দিয়ে কিনে খাইতে খাইতে শহরের এদিত সেদিক হাটতে লাগলাম। এখানে
শপিং এর অনেক জিনিস। কিন্তু আমার ট্রাভেল গুলো যেহেতু কম বাজেটের হয়। আমি শপিং
পরেই করি। প্রথমে গেলাম মসজিদটা দেখতে। সুন্দর এবং বিশাল একটা মসজিদ ওটা।
এরপর রাস্তার পাশে অনেক্ষন দাড়িয়ে থাকলাম ট্রামে চড়বো
বলে ট্রাম পেলামনা। সারা রাস্তায় ট্রামের লাইনের ছড়া ছড়ি কিন্তু ট্রাম নেই। তাই
হাটতে লাগলাম। একসময় অজানা রাস্তায়
হাটতে হাটতে হাওড়া ব্রিজ চলে আসলাম। ব্রিজের পাশে নদী এবং ঘাটে নৌকা দেখে দেখে
টাইম পাস করতে লাগলাম। রাত্রে তেহেরীর মত কিছু
খেলাম। আর স্ট্রিট ফুড সাফারী করলাম। মিষ্টি , আলু চপ , পানি পুড়ি খেয়ে হোটেল এ এসে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।
স্টিমার আর ওই হাওড়া ব্রিজ। এই
স্টিমারে মাত্র কিছু রুপি দিয়ে কিছুক্ষন চড়লাম।
[ নোটঃ ফেরিতে অপরিচিত কিছু
খাবেননা। বর্ডারে ৩০০ টাকা সরকারি কর দিতে হবে । এবং ছোট খাটো কিছু ফরম পূরন করতে
হবে। যা আপনি শ্যামলীর লোকদিয়ে ও করতে পারবেন কিছু টাকার বিনিময়ে। আর নিজে চাইলে
নিজেই করতে পারবেন। বর্ডারে কারো কোন হেল্প লাগবেনা। কাউকে কোন টাকা দিতে হবেনা।
কম খরছে হোটেল চাইলে যেখানে আমি উঠছিলাম সেদিকে যেতে পারেন। আর ভালমানের হোটেল
চাইলে বাস কাউন্টারের আস-পাশেই থাকতে পারেন। ]
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ভবন।
সকাল সকাল উঠে লোকাল বাসে উঠবো বলে রওনা দিলাম “ফেয়ারলি
প্লেস” নামে একটা ভবনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু পথেই ট্রাম
পেয়ে গেলাম। এই ভবনেই আছে ইন্ডিয়ান রেইল এর ফরেন গেস্টদের টিকিট কাউন্টার। টিকেট
কাটতে পাসপোট দেখাতে হয়। ভিসা সহ। টিকিট কাটলাম দিল্লি যাওয়ার। স্লিপার ক্লাস
টিকেট না থাকায় ৩A
টিকিট কাটলাম। যার খরছ ১৫৫০ রুপি। এত্ত গুলাটাকা বের হয়ে গেলো।
যেখানে অন্য টিকিট মাত্র ৫৫০ রুপি। তবে আমাকে বলা হলো ট্রেনটা ( দুরন্ত এক্সপ্রেস
) নতুন এবং খুবই ভালো। খাবারের মানও ভালো ট্রেনটাই।
দিল্লি যাওয়া নিশ্চিত করে , এরপর
হাটা শুরু করলাম পার্ক স্ট্রিটের উদ্দেশ্যে প্রায় ৩ কি:মি রাস্তা। চাইলে আমি
মেট্রো ট্রনে যেতে পারতাম। কিন্ত মেট্রো ট্রেনে মাত্র ১ মিনিট লাগে। যেখানে হাটলে
আমি পুরো শহরটা দেখতে দেখতে যেতে পারবো। পথে লেবুর শরবত আর একটা বার্গার খেয়ে
নিলাম। রাস্তার আশপাশ দেখে
দেখে চলতে লাগলাম।
অবশেষে পৌছালাম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল । মাত্র ১০ রুপি
টিকিট কাটলাম। যেখানে বাইরের দেশের টুরিস্ট দের জন্য ৭০ রুপি। আমার চেহারা দেখে
বোঝার উপায় নাই যে আমি বাংলাদেশী। মিউজিয়ামের ভেতরে ছবি
তোলা নিষেধ । তাই সব ছবি বাইরের।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে রাত হলো। আমি মেট্রো ট্রেন করে
হোটেলের পথ ধরলাম। যে রাস্তা হেটে আসতে আমার ১ ঘন্টা লাগছিল সেটা মট্রোতে ১ মিনিট
এ চলে আসলাম। নিল ৫ রুপি।
কাল সাইন্স সিটি অভিযান। তাই খেয়ে ঘুমাতে গেলাম।
কাল সাইন্স সিটি অভিযান। তাই খেয়ে ঘুমাতে গেলাম।
[ নোটঃ শহরে অল্প দুরত্বের
রাস্তা হেটে ঘুরাই ভাল। টিকিট কাটতে বা কিছু কিনতে বাংলাদেশী বা আপনি বাইরের পরিচয়
না দিলে কম খরচ পড়বে। আর কোলকাতায় দ্রুত পাবলিক যান হলো মেট্রো ট্র্রেন । মূহুত্বে
এক স্থান থেকে শহরের আরেক স্থানে চলে যেতে পারবেন। স্টেশনে ঢুকতেই ট্রেনের রুট
প্লান এবং ভাড়া দেখে নেবেন। ]
কি নেই সাইন্স সিটিতে?
সকাল এ উঠে একটা অটো নিয়ে বাইপাস রোডের সাইন্স সিটিতে
রওনা দিলাম। তার আগে জাকারিয়া স্ট্রিটের বিক্ষাত দুদ চা দিয়ে নাস্তা করতে
ভুললামনা। সাইনসৃ সিটিতে ঢুকার দুটা পথ আছে। একটা উড়ে উড়ে একটা নিচেদিয়ে হেটে
হেটে। আইমিন একটা ক্যাবল কারদিয়ে অন্যটা গেটদিয়ে ভদ্র লোকরে মত। আমি প্লান করলাম ঢুকবো
ক্যাবল কার দিয়ে ঢুকবো আর বের হব হেটে হেটে। সাইন্স সিটিতে পুরা একটা দিন সহজেই
কেটে যাবে। দেখার আর শেখার অনকে কিছু। অনেক কিছু। আমি দুটা বিজ্ঞান বিষয়ে ফ্লিম
দেখলাম। ডায়নাসর এর যুগের ভবনে ঢুকলাম। মিরোর মেজিক ভবনে ঢুকলাম। আরো কতো কি! ছবি
এই পোস্টে এমনিতেই বেশি হয়ে গেছে তাই বেশি আপলোড দিলামনা। চাইলে শুধু সাইন্স সিটি
নিয়ে ই একটা পোস্ট এবং ছবি এলবাম খুলা যাই। প্লেসটা আসলেই অসাধারণ।
এবার ফেরার পালা। মেট্রো ট্রেন করে ফেরত এলাম। সোজা
হোটেল এ এসে কাপড় চোপড় গোছাতে বসলাম। আগামি কাল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হবো।
লম্বা একটা ট্র্রেন যাত্রা।
হোটেল ছাড়লাম সব ভাড়া মিটিয়ে। ২৪ ঘন্টা চেক আউট টাইম ছিল
হোটেল এর। লোকাল একটা বাসে উঠে শিয়ালদহ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
সেখানে ওয়েটিং রুমে বসলাম। যেহেতু বেশি দামের টিকিট টাই কাটলাম , তাই
ওয়েটিং রুমটা ছিল সে রকম। যেন বিমান এর ওয়েটিং রুম। একটা মেশিন ও ছিল যেটায় টিকিট
এর নম্বরটা দেওয়ার সাথে সাথে আমার নাম সহ, সিট নম্বর,
বিস্তারিত দেখাতে লাগলো। ট্রেন একেবারে ঠিক
সময়েই এলো এবং ছাড়লো।
দীর্ঘ যাত্রা শুরু হলো। ট্র্রনের ওই কেভিন এ
টোটাল ৮টা সটি। ৮ জনের ই আলাদা আলাদা ঘুমানোর ব্যাবস্থা। যাস্ট সিট গুলো উঠিয়ে
নিলেই হলো। খাবার রাখার জন্য তাক আছে। ট্রেন থেকেই খাবার দিল। দুটা মিল। একট
ব্রেকফাস্ট। খাবারের মান ভালই। আমার সহ যাত্রি দুজন মেয়ে একজন কেনাডিয়ান
ছিল। বাকিরা ভারতীয়। গল্প করতে করতে টাইম পাস করতে লাগলাম। ৫৪B সিটের
মেয়েটা খুব সুন্দর ছিল। কয়েকবার চোখাচোখি হলো । খাবার খেয়ে সিটে আরামে
ঘুমাতে গেলাম। ট্রেন থেকেই কম্বল এবং চাদর দিল।
ট্রেন কখনো পাহাড় কখনো ধুধু মাঠের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলল।
কখনো কোন অজানা ঘুমন্ত শহরের ভেতর দিয়ে। কাল আমি ভারতের
রাজধানীথাকবো। সে গল্প পরবর্তী লিখাতে বলবো। অপেক্ষা
করতে থাকুন।
[নোটঃ ট্রেনের টিকিট কাটতে খেয়াল করুন কোনটা
কাটবনে। আরামের যাত্রা চাইলে 3A টাই কাটুন। নইলে স্লিপার ক্লাস।
স্লিপার ক্লাসে বাইরের মানুষ ওঠানামা করে। মনে রাখবেন এই ট্রেন যাত্রাটা অনেক
লম্বা।]
মেঘনা নদী পাড়ে শীতে যেন ইতালি ভেনিস শহর ,উত্তর হাতিয়া,নোয়াখালী.
নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। বৃটিশদের পরিকলপনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিলো তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোলো একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো প্যাটার্ণে তৈরী হয় সরকারী সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হতো মূলত: শহরে জলাধার হিসে্বে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস- আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি-সরবরাহ করা হতো। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিলো। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।
নদী: জেলা শহর থেকে ৪০ কিমি. দূরে মেঘনা নদী... বঙ্গপসাগরে সাথে বয়ে গেছে এ নদী.. নদীতে চারপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্যা চর... শীতে যেন ইতালি ভেনিস শহর ..তবে ভেনিসের মত উচ্চ উচ্চ ভবন নেই .. আচে সন্দুর ...
যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে দুই ভাবে যাওয়া যাবে ..ট্রেন ও বাসে .. ঢাকা থেকে একুশে পরিবহন,হিমাচল পরিবহন, দুই বাস সার্ভিস আছে.. ভাড়া ননএসি ৩৫০ টাকা , এসি ৫০০ টাকা..
ট্রেনে ও যেতে পারে ...বাস থেকে নাববেন সোনপুর বাস বা ট্রেন সেষ্টন ... সে থেকে বাসে করে চলে যাবেন মেঘনা পাড়ে .....
বঙ্গপসাগরে
শীতলক্ষ্যা পাড়ে একদিন, নারায়ণগঞ্জ
শীতলক্ষ্যা নদী বা লক্ষ্ম্যা নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নরসিংদী গাজীপুর, ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১০৮ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ২২৮ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক শীতলক্ষ্যা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৫৫।
ঘুরে আসতে পারে সিদ্ধিরগঞ্জ নদীবন্দর আসেপাশে ... এখানে পাকিস্তান তৈরী খাদ্য গেডাউন.. নদী নৌকা নিয়ে ঘুরা মজা আলাদা--
যেভাবে যাবেন: কাঁচপুর বিজ্র থেকে নৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে ...
ঘুরে আসতে পারে সিদ্ধিরগঞ্জ নদীবন্দর আসেপাশে ... এখানে পাকিস্তান তৈরী খাদ্য গেডাউন.. নদী নৌকা নিয়ে ঘুরা মজা আলাদা--
যেভাবে যাবেন: কাঁচপুর বিজ্র থেকে নৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে ...
বালু নদী যেনে কাশবনে হারিয়ে যাওয়া,, ঢাকা
বালু নদী বাংলাদেশের উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৪৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৭৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক বালু নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী নং ৪৬।
দুপাশে গাছের সারিঘেরা প্রশস্ত সড়ক। বিশাল খোলা প্রান্তর। সবুজ ঘাস বিছিয়ে আছে। সড়কের ধারে ফুটে আছে শরতের বার্তা নিয়ে আসা কাশফুল। সুদীর্ঘ সড়কের শেষ প্রান্তে নদী। ঢাকার ভেতরে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জন্য যাঁরা খোলামেলা জায়গা খুঁজে বেড়ান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন ১০০ ফিট নতুন বাজার।
দুপাশে গাছের সারিঘেরা প্রশস্ত সড়ক। বিশাল খোলা প্রান্তর। সবুজ ঘাস বিছিয়ে আছে। সড়কের ধারে ফুটে আছে শরতের বার্তা নিয়ে আসা কাশফুল। সুদীর্ঘ সড়কের শেষ প্রান্তে নদী। ঢাকার ভেতরে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জন্য যাঁরা খোলামেলা জায়গা খুঁজে বেড়ান, তাঁরা ঘুরে আসতে পারেন ১০০ ফিট নতুন বাজার।
Thursday, September 21, 2017
জিয়া পার্ক, রাজশাহী
রাজশাহী শহরে যে সকল বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে “শহীদ জিয়া শিশু পার্ক” একটি অন্যতম কেন্দ্র। শহরের নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে শহীদ জিয়া শিশু পার্কটি অবস্থিত। বিমান বন্দর রোডের পোস্টাল একাডেমীর বিপরীত পাশের অর্থাৎ রোডের পূর্ব পাশের রাস্তা ধরে কিছু দূর এগুলেই এ পার্কটি সবার চোখে পড়বে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পার্কটি তৈরি করেছে। পার্কটি নির্মাণে ব্যয় করা হয় ১১ কোটি টাকারও বেশী। ১২.২১ একর জায়গা জুড়ে পার্কটিতে স্থাপন করা হয়েছে ১৯ টি আইটেমের ৭০ টি গেমস প্লে।
আইটেমগুলো হচ্ছে মেরী গো রাউন্ড, মিনি রেলকার, মনোরেল স্কাই বাইক, ফ্লুম রাইডস, অক্টোপাস, সুপার সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, কিডি রাইডস, ফিজিওলজিক্যাল গেমস, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, পেডেল বোট, বাউন্সি ক্যাসেল, হর্স রাইড, ফ্রগ জাম্প, হানি সুইং, প্যারাট্রুপার, টি কাপ ও ব্যাটারী কার।
হ্রদের মাঝখানে কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করে পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে মিনি রেলকার যাবার জন্য দুপাশে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। বিচিত্র জন্তুর মুখ এবং বরফ ঘর সদৃশ বেশ সুন্দর প্রবেশ গেটের সঙ্গে আছে দোতলা ভবনের অফিস। এই ভবনের দোতলায় নামাজের ঘর আছে। বিভিন্ন জীবজন্তু ও কারুকার্য খচিত সীমানা প্রাচীর নজর কাড়ার মত। পার্কের ভিতর বিভিন্ন জায়গায় পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক টয়লেট, পৃথক দুটি ড্রেসিং রুম আছে। ভিতরের আইটেমগুলো উপভোগ করার টিকিটের জন্য তিন দিকে তিনটি কাউন্টার আছে। পার্ক থেকে বেরুনোর গেটটি অক্টোপাস সদৃশ।
পার্কটি ঠিকা ভিত্তিক তৈরি করেছে ডেটস অ্যান্ড উষা কনসোর্টিয়াম। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এই পার্কটি নির্মাণের জন্য ১৯৯৫ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ঐ প্রকল্পে আইটেম ছিল মাত্র ৫টি। বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঐ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান প্রকল্পেরে ভিত্তিতে নির্মিত পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৫ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী। তবে পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে পার্কটি সর্ব সাধারনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি উদ্বোধন করেন।
প্রতিদিন সকাল ১০.০০ থেকে রাত্রি ৮.০০ পর্যন্ত আপনি যে কোন সময় পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। পার্কের ভিতর প্রবেশ করতে চাইলে আপনাকে ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্য টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাইডের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে টিকিট ক্রয় করতে হয়।
কীভাবে যাবেনঃ
রাজশাহী পুরাতন বাস টার্মিনাল থেকে বাস/অটো রিক্সা যোগে ৫-৮ টাকা ভাড়া দিলে আপনাকে নওদাপাড়া পোস্টাল একাডেমীর সামনে নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে পোষ্টাল একাডেমীর বিপরীত দিকের রাস্থা ধরে কিছু দুর এগুলেই পার্কটি দেখতে পাবেন।
আইটেমগুলো হচ্ছে মেরী গো রাউন্ড, মিনি রেলকার, মনোরেল স্কাই বাইক, ফ্লুম রাইডস, অক্টোপাস, সুপার সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, কিডি রাইডস, ফিজিওলজিক্যাল গেমস, থ্রিডি মুভি থিয়েটার, পেডেল বোট, বাউন্সি ক্যাসেল, হর্স রাইড, ফ্রগ জাম্প, হানি সুইং, প্যারাট্রুপার, টি কাপ ও ব্যাটারী কার।
হ্রদের মাঝখানে কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করে পার্কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে মিনি রেলকার যাবার জন্য দুপাশে দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। বিচিত্র জন্তুর মুখ এবং বরফ ঘর সদৃশ বেশ সুন্দর প্রবেশ গেটের সঙ্গে আছে দোতলা ভবনের অফিস। এই ভবনের দোতলায় নামাজের ঘর আছে। বিভিন্ন জীবজন্তু ও কারুকার্য খচিত সীমানা প্রাচীর নজর কাড়ার মত। পার্কের ভিতর বিভিন্ন জায়গায় পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক টয়লেট, পৃথক দুটি ড্রেসিং রুম আছে। ভিতরের আইটেমগুলো উপভোগ করার টিকিটের জন্য তিন দিকে তিনটি কাউন্টার আছে। পার্ক থেকে বেরুনোর গেটটি অক্টোপাস সদৃশ।
পার্কটি ঠিকা ভিত্তিক তৈরি করেছে ডেটস অ্যান্ড উষা কনসোর্টিয়াম। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের এই পার্কটি নির্মাণের জন্য ১৯৯৫ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। ঐ প্রকল্পে আইটেম ছিল মাত্র ৫টি। বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঐ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমান প্রকল্পেরে ভিত্তিতে নির্মিত পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৫ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারী। তবে পার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারীতে। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখে পার্কটি সর্ব সাধারনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে খুলে দেয়া হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটি উদ্বোধন করেন।
প্রতিদিন সকাল ১০.০০ থেকে রাত্রি ৮.০০ পর্যন্ত আপনি যে কোন সময় পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। পার্কের ভিতর প্রবেশ করতে চাইলে আপনাকে ১৫ টাকা প্রবেশ মূল্য টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন রাইডের জন্য পৃথক পৃথক ভাবে টিকিট ক্রয় করতে হয়।
কীভাবে যাবেনঃ
রাজশাহী পুরাতন বাস টার্মিনাল থেকে বাস/অটো রিক্সা যোগে ৫-৮ টাকা ভাড়া দিলে আপনাকে নওদাপাড়া পোস্টাল একাডেমীর সামনে নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে পোষ্টাল একাডেমীর বিপরীত দিকের রাস্থা ধরে কিছু দুর এগুলেই পার্কটি দেখতে পাবেন।
পদ্মার পাড়ে একদিন, রাজশাহী
রাজশাহী একটি ছোট শহর। তারপরও এখানে বিনোদনের জায়গার অভাব নেই। কিন্তু রাজশাহীর সবকিছুই এখন পদ্মাকে ঘিরে। গ্রীষ্ম, শীত, বর্ষা কিংবা শরত, সব ঋতুতেই পদ্মা নদীকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা। গ্রীষ্মে শুকিয়ে কাঠ পদ্মা আর বর্ষায় জলে টইটুম্বুর সব সময় মানুষকে কাছে টানে। আর উৎসব হলে তো কথাই নেই। প্রতিটি উৎসবে বিনোদন পিয়াসীদের কাছে সেরা ঘোরাঘুরির স্পট হিসেবে প্রথম পছন্দ পদ্মা নদী।
সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে খানিক রাত অবধি পদ্মা নদীর কূলে মানুষের আনাগোনা। আর তারুণ্যের ঢেউ রাজশাহীর পদ্মা নদীর অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে। জলরাশির পাশে খানিকটা আনন্দের ঢেউ। শান্তির সুবাতাস। আর ভরা পদ্মার নৈসর্গিক রূপে মানুষের টান থাকে সর্বক্ষণ। সারাদিন হৈ চৈ, আনন্দে মাতামাতি, ছোট ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া এসব নিয়ে এখন মুখরিত পদ্মা নদীর পাড়।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের ভাললাগার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বলতে রাজশাহীর পদ্মার পাড়। নদীর প্রবহমান সেই জোয়ার, কলতান, মাঝিদের গান সবই আজ অতীত হলেও নদীর কূলে তখন শুধু তারুণ্যের জয়গান। রাজশাহীর বিনোদনের সব স্রোত মিশে একাকার পদ্মা নদীর তীর ঘিরে।
নগরীর বুলনপুর থেকে বড়কুঠি ও পঞ্চবটি হয়ে সাতবাড়িয়া। দীর্ঘ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার পাড় এখন রাজশাহীবাসীর জন্য বিনোদনের সেরা ঠিকানা। সকাল নেই, দুপুর নেই, সব সময় পদ্মাকে ঘিরে নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত এখন পদ্মার পাড়। পদ্মার ধার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াক ওয়ে। উন্নতমানের এ সড়ক দিয়ে সহজেই বিনোদন পিপাসুরা হেঁটে পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পারেন।
এখানে নদী ভ্রমণে আগ্রহীদের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। রাতের আঁধারে রঙিন আলোয় আরো ফুটে ওঠে এ জায়গার অন্য চেহারা। ‘বহির্নোঙ্গর’ আর ‘সীমান্ত নোঙ্গর’ পেরিয়ে অল্প সামান্য হাঁটা পথ পেরুলেই চোখে পড়ে সুদৃশ্য গ্যালারি সমৃদ্ধ মুক্তমঞ্চ। এটি লালন শাহ পার্ক। আঁকাবাঁকা সিঁড়ির মতো সাজানো-গোছানো গ্যালারিতে বসে অনায়াসে দেখা যায় পদ্মার রূপ। বর্ষায় পাল তোলা নৌকার কলকলিয়ে ছুটে চলার অনুপম দৃশ্য। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এ পার্কের দেখাশোনা করে। এখানে যে কোনো বড় অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিস্তৃত মুক্তমঞ্চ। যদি আপনি রাজশাহী যান তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন পদ্মার পাড় থেকে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে খানিক রাত অবধি পদ্মা নদীর কূলে মানুষের আনাগোনা। আর তারুণ্যের ঢেউ রাজশাহীর পদ্মা নদীর অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে। জলরাশির পাশে খানিকটা আনন্দের ঢেউ। শান্তির সুবাতাস। আর ভরা পদ্মার নৈসর্গিক রূপে মানুষের টান থাকে সর্বক্ষণ। সারাদিন হৈ চৈ, আনন্দে মাতামাতি, ছোট ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া এসব নিয়ে এখন মুখরিত পদ্মা নদীর পাড়।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের ভাললাগার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বলতে রাজশাহীর পদ্মার পাড়। নদীর প্রবহমান সেই জোয়ার, কলতান, মাঝিদের গান সবই আজ অতীত হলেও নদীর কূলে তখন শুধু তারুণ্যের জয়গান। রাজশাহীর বিনোদনের সব স্রোত মিশে একাকার পদ্মা নদীর তীর ঘিরে।
নগরীর বুলনপুর থেকে বড়কুঠি ও পঞ্চবটি হয়ে সাতবাড়িয়া। দীর্ঘ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার পাড় এখন রাজশাহীবাসীর জন্য বিনোদনের সেরা ঠিকানা। সকাল নেই, দুপুর নেই, সব সময় পদ্মাকে ঘিরে নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত এখন পদ্মার পাড়। পদ্মার ধার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াক ওয়ে। উন্নতমানের এ সড়ক দিয়ে সহজেই বিনোদন পিপাসুরা হেঁটে পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পারেন।
এখানে নদী ভ্রমণে আগ্রহীদের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। রাতের আঁধারে রঙিন আলোয় আরো ফুটে ওঠে এ জায়গার অন্য চেহারা। ‘বহির্নোঙ্গর’ আর ‘সীমান্ত নোঙ্গর’ পেরিয়ে অল্প সামান্য হাঁটা পথ পেরুলেই চোখে পড়ে সুদৃশ্য গ্যালারি সমৃদ্ধ মুক্তমঞ্চ। এটি লালন শাহ পার্ক। আঁকাবাঁকা সিঁড়ির মতো সাজানো-গোছানো গ্যালারিতে বসে অনায়াসে দেখা যায় পদ্মার রূপ। বর্ষায় পাল তোলা নৌকার কলকলিয়ে ছুটে চলার অনুপম দৃশ্য। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এ পার্কের দেখাশোনা করে। এখানে যে কোনো বড় অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিস্তৃত মুক্তমঞ্চ। যদি আপনি রাজশাহী যান তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন পদ্মার পাড় থেকে।
যেভাবে যাবেন :
আপনি দেশের যেকোনো জেলা থেকে আসতে চাইলে আগে রাজশাহী শহরে পৌঁছাতে হবে। আপনি যদি একদিনের জন্য ট্যুরে আসতে চান। তাহলে বাস অথবা রেলস্টেশনে নেমে যেকোনো লোকাল বাহনে করে পদ্মারপাড় যেতে পারবেন।
এ ছাড়া পুরো রাজশাহী শহর ঘুরে দেখতে চাইলে শহরে পৌঁছে যেকোনো একটি ভালো হোটেল অথবা রাজশাহী পর্যটন মোটেলে উঠতে পারেন। সেখান থেকে আপনি ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করতে পারবেন।রাজশাহী ছোট শহর হওয়ায় আপনাকে কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। লোকাল বাহন চালকদের বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে নির্ধারিত স্থানে।