Saturday, September 23, 2017

মেঘনা নদী পাড়ে শীতে যেন ইতালি ভেনিস শহর ,উত্তর হাতিয়া,নোয়াখালী.

নোয়াখালী বাংলাদেশের একমাত্র জেলা যার নিজ নামে কোন শহর নেই। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে যখন উপজেলা সদর দফতর মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায়, তখন তা ৮ কিলোমিটার উত্তরে সরিয়ে ১৯৫০ সালে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। বৃটিশদের পরিকলপনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিলো তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরনো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদির হানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোলো একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো প্যাটার্ণে তৈরী হয় সরকারী সব দপ্তর। এই দীঘিটি ব্যবহৃত হতো মূলত: শহরে জলাধার হিসে্বে, দীঘিতে পাম্প লাগিয়ে বিভিন্ন সরকারি অফিস- আদালত এবং আবাসিক এলাকায় পানি-সরবরাহ করা হতো। মাইজদী শহর স্থানান্তর করলেও সুদীর্ঘ প্রায় একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার সদরদপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত অবস্থায় ছিলো। অবশেষে ১৯৬২ সালে মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসাবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
চৌমুহনী নোয়াখালীর আরেকটি ব্যস্ত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র, যা একসময়ে মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল।






নদী: জেলা শহর থেকে ৪০ কিমি. দূরে মেঘনা নদী... বঙ্গপসাগরে সাথে বয়ে গেছে এ নদী.. নদীতে চারপাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্যা চর... শীতে যেন ইতালি ভেনিস শহর ..তবে ভেনিসের মত উচ্চ উচ্চ ভবন নেই .. আচে সন্দুর ... 

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে দুই ভাবে যাওয়া যাবে ..ট্রেন ও বাসে .. ঢাকা থেকে  একুশে পরিবহন,হিমাচল পরিবহন, দুই বাস সার্ভিস আছে.. ভাড়া ননএসি ৩৫০ টাকা , এসি ৫০০ টাকা..
ট্রেনে ও যেতে পারে ...বাস থেকে নাববেন সোনপুর বাস বা ট্রেন সেষ্টন ... সে থেকে বাসে করে চলে যাবেন মেঘনা পাড়ে .....

বঙ্গপসাগরে

 

0 comments:

Post a Comment