ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: ZYL, আইসিএও: VGSY) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান ও তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি দেশের উত্তর-পূর্ব কোণের বিভাগীয় শহর সিলেটে অবস্থিত। এটি মূল সিলেট
শহর হতে উত্তর-পুর্ব দিকে ৫ মাইল (৮ কিঃমিঃ) দূরে বড়শাল এলাকায় অবস্থিত।
বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত
হয় ও বাংলাদেশের জাতীয় এয়ারলাইন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর জন্যও ব্যবহৃত হয়। বেসরকারি বিমান সংস্থা নভোএয়ার, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সিলেট থেকে ঢাকায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
ওসমানী অান্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও
বাংলাদেশের তিনটি অান্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি। এটি ১৯৭১ সালের
স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক জেনারেল ওসমানীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
তারপূর্বে এটির নাম ছিল সিলেট বিমানবন্দর। ওসমানী অান্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যুক্তরাজ্য ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের সাথে সরাসরি বিমান চলাচল করে। তাছাড়াওও দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা - সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম ইত্যাদি রূটেও বিমান চলাচল করে থাকে। খুব সাম্প্রতিক সিলেট- শিলচর ও সিলেট- কক্সবাজার রূটেও বিমান চলাচলের কথা রয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আবুধাবি, দোহা, দুবাই, লন্ডনের হিথ্রো ও জেদ্দা থেকে সিলেটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি বিমান সংস্থা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
ইতিহাস
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আবুধাবি, দোহা, দুবাই, লন্ডনের হিথ্রো ও জেদ্দা থেকে সিলেটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি বিমান সংস্থা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে।
ঘটনা-দুর্ঘটনা
- ২২ ডিসেম্বর ১৯৯৭, একটি ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেলের বিমান নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০৯ ৮৫ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। যা অবতরণ করার সময় ঘন কুয়াশার কারণে রানওয়ে পাদদেশ থেকে ৫.৬ কিলোমিটার দূরে একটি ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৭ জন যাত্রী অহত হয়।[২]
- ৮ অক্টোবর ২০০৪, একটি ফকার এফ২৮-৪০০০ মডেলের বিমান নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-৬০১ ৭৯ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট যাচ্ছিল। অবতরণের পর রানওয়ে ভেজা থাকার কারণে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে খাঁদে পড়ে যায়। এতে ২ জন যাত্রী আহত হয়।
0 comments:
Post a Comment