Thursday, September 21, 2017

পদ্মার পাড়ে একদিন, রাজশাহী

রাজশাহী একটি ছোট শহর। তারপরও এখানে বিনোদনের জায়গার অভাব নেই। কিন্তু রাজশাহীর সবকিছুই এখন পদ্মাকে ঘিরে। গ্রীষ্ম, শীত, বর্ষা কিংবা শরত, সব ঋতুতেই পদ্মা নদীকে ঘিরে মানুষের আনাগোনা। গ্রীষ্মে শুকিয়ে কাঠ পদ্মা আর বর্ষায় জলে টইটুম্বুর সব সময় মানুষকে কাছে টানে। আর উৎসব হলে তো কথাই নেই। প্রতিটি উৎসবে বিনোদন পিয়াসীদের কাছে সেরা ঘোরাঘুরির স্পট হিসেবে প্রথম পছন্দ পদ্মা নদী।






সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে খানিক রাত অবধি পদ্মা নদীর কূলে মানুষের আনাগোনা। আর তারুণ্যের ঢেউ রাজশাহীর পদ্মা নদীর অন্তত ১০ কিলোমিটার জুড়ে। জলরাশির পাশে খানিকটা আনন্দের ঢেউ। শান্তির সুবাতাস। আর ভরা পদ্মার নৈসর্গিক রূপে মানুষের টান থাকে সর্বক্ষণ। সারাদিন হৈ চৈ, আনন্দে মাতামাতি, ছোট ছোট নৌকায় পাড়ি দেওয়া এসব নিয়ে এখন মুখরিত পদ্মা নদীর পাড়।

শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের ভাললাগার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু বলতে রাজশাহীর পদ্মার পাড়। নদীর প্রবহমান সেই জোয়ার, কলতান, মাঝিদের গান সবই আজ অতীত হলেও নদীর কূলে তখন শুধু তারুণ্যের জয়গান। রাজশাহীর বিনোদনের সব স্রোত মিশে একাকার পদ্মা নদীর তীর ঘিরে।

নগরীর বুলনপুর থেকে বড়কুঠি ও পঞ্চবটি হয়ে সাতবাড়িয়া। দীর্ঘ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পদ্মার পাড় এখন রাজশাহীবাসীর জন্য বিনোদনের সেরা ঠিকানা। সকাল নেই, দুপুর নেই, সব সময় পদ্মাকে ঘিরে নতুন প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত এখন পদ্মার পাড়। পদ্মার ধার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াক ওয়ে। উন্নতমানের এ সড়ক দিয়ে সহজেই বিনোদন পিপাসুরা হেঁটে পদ্মার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পারেন।

এখানে নদী ভ্রমণে আগ্রহীদের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। রাতের আঁধারে রঙিন আলোয় আরো ফুটে ওঠে এ জায়গার অন্য চেহারা। ‘বহির্নোঙ্গর’ আর ‘সীমান্ত নোঙ্গর’ পেরিয়ে অল্প সামান্য হাঁটা পথ পেরুলেই চোখে পড়ে সুদৃশ্য গ্যালারি সমৃদ্ধ মুক্তমঞ্চ। এটি লালন শাহ পার্ক। আঁকাবাঁকা সিঁড়ির মতো সাজানো-গোছানো গ্যালারিতে বসে অনায়াসে দেখা যায় পদ্মার রূপ। বর্ষায় পাল তোলা নৌকার কলকলিয়ে ছুটে চলার অনুপম দৃশ্য। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এ পার্কের দেখাশোনা করে। এখানে যে কোনো বড় অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিস্তৃত মুক্তমঞ্চ। যদি আপনি রাজশাহী যান তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন পদ্মার পাড় থেকে।

যেভাবে যাবেন :

আপনি দেশের যেকোনো জেলা থেকে আসতে চাইলে আগে রাজশাহী শহরে পৌঁছাতে হবে। আপনি যদি একদিনের জন্য ট্যুরে আসতে চান। তাহলে বাস অথবা রেলস্টেশনে নেমে যেকোনো লোকাল বাহনে করে পদ্মারপাড় যেতে পারবেন।

এ ছাড়া পুরো রাজশাহী শহর ঘুরে দেখতে চাইলে শহরে পৌঁছে যেকোনো একটি ভালো হোটেল অথবা রাজশাহী পর্যটন মোটেলে উঠতে পারেন। সেখান থেকে আপনি ইচ্ছে মতো ঘোরাফেরা করতে পারবেন।রাজশাহী ছোট শহর হওয়ায় আপনাকে কোনো জায়গা খুঁজে বের করতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। লোকাল বাহন চালকদের বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে নির্ধারিত স্থানে।


0 comments:

Post a Comment